শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

আমারই মনে হচ্ছে, ডাক্তারদের দেশ ছাড়ার সময় এসে গেছে ভাই...


আমি পৃথিবীর চরম optimistic লোকদের একজন।পা কেটে দিলেও গড়িয়েগড়িয়ে চলার সাহস রাখি ইনশাহআল্লাহ।
আমারই মনে হচ্ছে,দেশ ছাড়ার সময় এসে গেছে ভাই।
বুয়েটিয়ানরা এই কাজটা বহু আগেই শুরু করেছে।আমরা ডাক্তাররাই বলদ রয়ে গেলাম।
বলদ বদল হোক।
কেন দেশ(বিশেষত চিকিৎসকরা) ছাড়বেন:
আমাদের দেশের অনেকে অভিযোগ করে বলে - "বাংলাদেশ থেকে যেসব মেধাবী বিদেশ যায়, তারা আর ফিরে আসে না। তারা দেশে আসলে না জানি দেশ কত উন্নত হইতো".।
আমেরিকার সেরা গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট বাংলাদেশী। এটা শুনেই পুলকিত হই। কিন্তু তার মর্যাদা এই দেশ দিতে পারবে না। তার যোগ্য সম্মান দিতে পারবে না, তার রিসার্চ সুযোগ এই দেশ দিতে পারবে না। আমেরিকাতে পাবলিক হেলথ প্রফেসর সেজান মাহমুদ। তারও একি অবস্থা। আমেরিকায় তিনি উত্তরোত্তর সম্মান পাচ্ছেন।
কানাডার ওয়েস্টার্ন ওন্টারিও ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট অমিত চাকমা বাংলাদেশি। তিনি ওই দেশের সেরা কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ার। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি কাঁপানো ছাত্র ছিলেন। এই দেশে থাকলে হয়তো তারে সরকার দয়া করে উপজাতি কোটায় একটা চাকুরী দিত কি না সন্দেহ। কিন্তু দেশ ছেড়েই বিশ্ব জয় করেছেন।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডাক্তার মোহাম্মদ আহমেদুল্লাহ। তিনিও যদি দেশে আসেন। কসাই ধাক্কা খেয়ে কয় দিন টিকতে পারতেন উপরওয়ালা ভালো জানেন।
উল্টাটা করেছিলেন চিটাগাং ভার্সিটির প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম স্যার। ১৯৮৪ সালে কেম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটির সোয়া লাখ বেতনের চাকুরী ছেড়ে চিটাগাং ভার্সিটিতে তিন হাজার টাকা বেতনে জয়েন করেছিল। কি লাভ হয়েছে জামাল স্যারের। তার মাহত্ব্য ভুলে গেছে সবাই। কিন্তু তার রুমমেট ছিলেন স্টিফেন হকিংস। হকিংসকে সারা দেশ চিনলেও জামাল স্যারের নাম ১% মানুষও জানে না।
প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল - স্যার, দেশের মেধা তো সব পাচার হয়ে যাচ্ছে, এর জন্য কিছু কি করা যায় না?? স্যার শুধু একটাই উত্তর দিয়েছিলেন - "Brain Must be Drained, otherwise it will be in the Drain".
জনৈক কবি বলেছিলেন,
"রোগী কিংবা চিকিৎসক সবাই যাবে বিদেশ,
পরে রইবে দালাল ঘেরা হতভাগা স্বদেশ "
আফসোস লাগে এদেশের অনেক মেধাবী ব্রেইনের জন্য যা ড্রেনে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে।
যে দেশে গুনির কদর নাই সে দেশে গুনি জন্মায় না-ড. শহীদুল্লাহ
ভুলক্রমে জন্মিলেও অকালে মরিয় যায়-ডা.হুদা


লেখা- রোদ্দুর ডা.নূরুল হুদা খান

SHARE THIS

0 মন্তব্য(গুলি):