শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬

মেডিকেল পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশন শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চরম অসন্তুষ্টি!

স্নাতকোত্তর মেডিকেল শিক্ষা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধ্যাপকেরা বলেছেন, দেশে মেডিকেল উচ্চশিক্ষায় শৃঙ্খলা নেই। দ্বৈত ব্যবস্থা চলছে। শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ যথাযথ হচ্ছে না।
গতকাল শনিবার ১৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অধ্যাপকেরা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বিকেলের পর রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকেন না।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ‘মেডিকেল উচ্চশিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। দুপুর ১২টা থেকে একই সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগে এই অনুষ্ঠান হয়।
ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিভাগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, দেশে মেডিকেল উচ্চশিক্ষায় দ্বৈত ব্যবস্থা চলছে। বিএসএমএমইউ ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) দুই ধরনের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দিচ্ছে। কলেজগুলো শিক্ষকের অভাবে এমবিবিএস কোর্স চালু রাখতেই হিমশিম খাচ্ছে, তারা ঠিকভাবে স্নাতকোত্তর ক্লাস করাতে পারে না। শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাস করেন না, করার ব্যবস্থা নেই, ঘোরাফেরা করে চলে যান।
অধ্যাপক আবদুল জলিল চৌধুরী বলেন, আদর্শ কোনো ব্যবস্থা মেনে রেসিডেন্সি কর্মসূচি চালু হয়নি। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ‘খিচুড়ি’ ব্যবস্থা অনুসরণ করা হচ্ছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল হাসান খান বলেন, ছাত্র ও শিক্ষকদের সরাসরি মতবিনিময়ের জন্য এই সভার আয়োজন। প্রতিটি বিভাগে আয়োজিত এই আলোচনা একত্র করে সুপারিশ তৈরি করা হবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপাচার্য বলেন, অভিযোগ পাওয়া যায় অফিস সময়ের পর হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন না। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা হচ্ছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে একজন শিক্ষার্থী বলেন, দেশে কোন বিষয়ে কত জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দরকার, তার কোনো হিসাব নেই, কোনো পরিকল্পনাও নেই। আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য যে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের তা কোনো কাজে লাগে না।
এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহজাদা সেলিম বলেন, বিভাগে প্রশিক্ষিত নার্সের সংকট আছে। এ ছাড়া এই বিভাগের জন্য শয্যা বাড়ানো ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দরকার।

সূত্র - প্রথম আলো..


SHARE THIS

0 মন্তব্য(গুলি):