রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৬

চমেক হাসপাতালের আর এস ডা: সঞ্জয় FCPS বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন।

 রিকশায় জামালখান সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। লিচুবাগান পেরোতে না পেরোতেই বুলেটের মতো কি যেন গেল। দেখলাম সূঁচালো লোহার রড। উপরে তাকিয়ে দেখলাম রমনা ভবনের ১০ তলায় মিস্ত্রিরা কাজ করছে। রডটা হাতে না লেগে আমার মাথায়ও ঢুকে যেতে পারত। বড় বাঁচা বাঁচলাম।
রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেল চারটায় কোতোয়ালি থানাধীন জামালখান সড়কে ১৪ তলা নির্মাণাধীন ভবনের সামনে কথাগুলো বললেন চমেক হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. সঞ্জয় দাশ। দুর্ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর করতে চাইলে ডা. সঞ্জয় দাশ তাদের নিবৃত করেন।
এ সময় উপস্থিত বিক্ষুব্ধ কয়েকজন তরুণ বাংলানিউজকে জানান, এ ফুটপাত দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার স্কুল-কলেজ ছাত্রছাত্রী, রোগী, স্বজন ও স্থানীয় লোকজন হাঁটাচলা করেন। অথচ ১৪ তলা নির্মাণাধীন ভবনটি কোনো ধরনের জাল বা ঘেরা ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছে। এর আগেও এখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, পুলিশ কেউই নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণের মতো উদাসীনতা দেখছে না।  
জামিলুদ্দীন লিমিটেডের মালিকানাধীন এজিবি বিল্ডার্সের প্রকল্প অফিসে সাব্বির আহমদ নামের একজন মিস্ত্রি বাংলানিউজকে জানান, ১০ তলায় রাস্তার পাশ বরাবর যে শেড ছিল সেটি কাটছিলাম। অসাবধানতা বশত লোহার রডটি পড়ে গিয়েছিল।
প্রকল্প অফিসে মো. শাহজান নামের একজন কর্মচারী জানান, তিনজনের মধ্যে মালিকানা নিয়ে বিরোধের কারণে এ ভবনের নির্মাণকাজ এখন স্থগিত রয়েছে। তারপরও দুর্ঘটনা ঘটেছে শুনে মুরাদপুরের রমনা ট্রেড সেন্টার থেকে ছুটে এসেছি।
জামিলুদ্দীন লিমিটেডের সেলস ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে মোস্তাক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সেলস ডিপার্টমেন্ট দেখি। এখানে আসিও না। তাই নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়া নির্মাণকাজ পরিচালনা বা রড নিচে পড়ে যাওয়ার বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।
প্রকল্প অফিসের সামনে দৃশ্যমান ‘প্রকল্পের বিবরণ’ থেকে জানা গেছে, প্রকল্পের স্থপতি হচ্ছেন পরেশ মণ্ডল এবং প্রকৌশলী ইউসুফ শাহ সাজু।



SHARE THIS

0 মন্তব্য(গুলি):